This is this sidebar for a particular page. It can be edited by editing a page from within the control pannel.
১-৪: ব্যাঙের মহামারী
১ এরপর প্রভু মোশিকে বা মূসাকে বললেন, “ ফারাও বা ফেরাউনের কাছে যাও এবং তাকে বলো, ‘এটা ঈশ্বরের আদেশ: আমার লোকদের যেতে দাও, যাতে তারা আমার উপাসনা করতে পারে।”
এরপর ঈশ্বর মোশিকে বা মূসাকে ঈশ্বর আদেশ দেন যে তিনি ফেরাউনের কাছে গিয়ে ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। ঈশ্বর চান যে তার লোকেরা যেন তাঁর উপাসনা করতে পারে।
২ যদি তুমি তাদের যেতে না দাও, তবে আমি তোমার সারা দেশে ব্যাঙের মহামারী পাঠাব।
যদি ফারাও বা ফেরাউন ইসরায়েলীয়দের মুক্তি না দেয়, তাহলে সমগ্র মিশর জুড়ে ব্যাঙ ছড়িয়ে পড়বে, যা মানুষের জন্য অনেক বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।
৩ নীল নদ ব্যাঙে পূর্ণ হয়ে উঠবে। তারা (ব্যাঙ) তোমার প্রাসাদে, তোমার শয়নকক্ষে, তোমার বিছানার উপর, তোমার আধিকারিদের ও তোমার জনগণের ঘরবাড়িতে, তোমাদের চুলা ও রুটি তৈরির পাত্রের মধ্যে পর্যন্ত ঢুকে পড়বে।
ব্যাঙ শুধু নদীতেই থাকবে না; তারা ফারাও বা ফেরাউনের প্রাসাদ, তার শোবার ঘর, রান্নাঘর এবং খাদ্য তৈরির স্থানেও ঢুকে পড়বে। অর্থাৎ, এটি শুধুমাত্র একটি স্বাভাবিক দুর্যোগ নয়, বরং এটি দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করবে।
৪ এই ব্যাঙ তোমার, তোমার জনগণ এবং তোমার সমস্ত আধিকারিদের উপর উঠে আসবে।”
এই দুর্যোগ কেবল সাধারণ মানুষের জন্য নয়, ফারাও বা ফেরাউনের জন্যও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
৫-৭: ঈশ্বরের আদেশ এবং মিশরের জাদুকররা
৫ তারপর ঈশ্বর মোশিকে বা মূসাকে বললেন, “আরেন বা হারুনকে বলো, ‘তোমার লাঠিটি নদী, খাল ও জলাশয়ের উপর রাখো,’ যাতে ব্যাঙ মিশরের দেশে উঠে আসে।”
ঈশ্বর আরেন বা হারুনকে আদেশ দেন যেন তিনি তার লাঠির মাধ্যমে এই দুর্যোগ আনেন, যা বর্ণনা করে যে ঈশ্বরের শক্তির মাধ্যমে এই ঘটনাগুলো ঘটছে।
৬ তাই আরেন বা হারুন তার হাত মিশরের জলের উপর ছড়িয়ে স্পর্শ করলেন, এবং সকল ব্যাঙ মিশরের সব জায়গায় উঠে এলো।
আরেন বা হারুন ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে কাজ করেন, এবং তার লাঠির শক্তির মাধ্যমে সারা দেশে ব্যাঙ ছড়িয়ে পড়ে।
৭ কিন্তু মিশরের জাদুকররা তাদের গোপন বিদ্যার মাধ্যমে একই কাজ করলো; তারাও ব্যাঙ এনে মিশরের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিলো।
মিশরের জাদুকররা কিছুটা ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারলেও, তারা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। এটি দেখায় যে তাদের জাদুবিদ্যা সীমিত এবং ঈশ্বরের শক্তির তুলনায় কিছুই নয়।
৮-১৫: ফারাও বা ফেরাউনের অনুনয় এবং তার হৃদয়ের কঠোরতা
৮ ফারাও বা ফেরাউন মোশি বা মূসা ও আরেন বা হারুনকে ডেকে বললেন, “ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো, যাতে তিনি আমার এবং আমার লোকদের থেকে ব্যাঙ বিপর্যয় দূর করেন; তাহলে আমি তোমাদেরকে যেতে দেবো, যাতে তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সফল করতে ত্যাগ বা উপসনা করতে পারো।”
ব্যাঙের দুর্যোগ এতটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে যে ফারাও বা ফেরাউন মোশি বা মূসা ও আরেন বা হারুনকে ডেকে প্রার্থনা করতে বলেন। কিন্তু তিনি সত্যিই মুক্তি দিতে চান, নাকি কেবল সাময়িকভাবে সমস্যা দূর করতে চান, তা পরে বোঝা যাবে।
৯ মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনকে বললেন, “আমি তোমাকে সুযোগ দিচ্ছি, তুমি বলো আমি কখন তোমার এবং তোমার লোকদের জন্য প্রার্থনা করবো, যাতে ব্যাঙগুলি তোমার ঘর থেকে সরে গিয়ে শুধুমাত্র নীল নদীতে থেকে যায়।”
মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনকে তার ইচ্ছামতো সময় বেছে নিতে বলেন, যাতে ফারাও বা ফেরাউন নিজেই বুঝতে পারেন যে এটি ঈশ্বরের শক্তি।
১০ ফারাও বা ফেরাউন বললেন, “আগামীকাল।”
মোশি বা মূসা বললেন, “তোমার কথা মতই হবে, যাতে তুমি জানতে পারো যে আমাদের ঈশ্বরের মত কেউ নেই।”
ফারাও বা ফেরাউন কালকের সময় ঠিক করেন, কিন্তু তার এই দেরি করার মানসিকতা দেখায় যে সে এখনও সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখছে না।
১১ ব্যাঙরা তোমাকে, তোমার ঘরবাড়ি, তোমার আধিকারিদের ও তোমার লোকদের ছেড়ে চলে যাবে; তারা শুধু নীল নদেই থাকবে।"
১২ মোশি বা মূসা ও আরেন বা হারুন ফারাও বা ফেরাউনকে ছেড়ে চলে যাবার পর, মোশি বা মূসা ঈশ্বরের কাছে ফারাও বা ফেরাঊনের উপর নিয়ে আসা ব্যাঙের মহামারী নিয়ে চিৎকার করে কান্না করলেন।
১৩ আর ঈশ্বর মোশি বা মূসা যা চেয়েছিলেন তা-ই করলেন। বাড়িতে, উঠানে ও মাঠে ব্যাঙ মারা গেছে।
১৪ তাদের স্তূপে স্স্তূপে জমা করা হল, আর জমি তাদের থেকে খালি হল।
এরপর মোশি প্রার্থনা করেন এবং ঈশ্বর ব্যাঙগুলোকে মেরে ফেলেন। মৃত ব্যাঙগুলো জমে জমে পাহাড়ের মতো হয়ে যায়, এবং সারা দেশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।যদিও ব্যাঙ মারা যায়, তবুও মিশরীয়দের জন্য এটি একটি নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে, কারণ তাদের পচা ব্যাঙের দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়।
১৫ কিন্তু যখন ফারাও বা ফেরাউন দেখলো যে দুর্যোগ কমেছে, তখন সে তার মন পরিবর্তন করলো এবং মোশির বা মূসার কথা মানতে অস্বীকার করলো।
ফারাও বা ফেরাউনের এরূপ আচরণ আমাদের শেখায় যে অনেক সময় মানুষ সংকটে পড়ে ঈশ্বরের সাহায্য চায়, কিন্তু যখন কষ্ট চলে যায়, তখন তারা ঈশ্বরকে ভুলে যায়।
১৬-১৯: গুঁড়া মাটির ধূলিকণা পরিণত হলো মশা ও উকুনে
১৬ এরপর ঈশ্বর মোশিকে বা মূসাকে বললেন, “আরেন বা হারুনকে বলো, ‘তোমার লাঠি তুলে মাটির ধূলিতে আঘাত করো।’ এতে সমগ্র মিশরের মাটি উকুনে পরিণত হবে।”
এটি ছিল তৃতীয় মহামারী। ব্যাঙের মহামারীর পর এবার, ঈশ্বর মিশরের মাটি থেকে উকুন সৃষ্টি করেন। ধূলিকণা ছোট ছোট পতঙ্গে পরিণত হয়, যা মানুষের শরীর ও পশুর গায়ে লেগে যায়। এটি ছিল ঈশ্বরের শক্তির আরেকটি প্রমাণ, কারণ এই দুর্যোগ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
১৭ তারা তাই করলেন; আরেন বা হারুন তার লাঠি তুলে মাটির ধূলিতে আঘাত করলেন, আর সমস্ত ধূলিকণা উকুনে পরিণত হলো। সেগুলো মানুষের ও পশুর গায়ে উঠে পড়লো। সমগ্র মিশরের মাটিই উকুনে ভরে গেল।
আরেন বা হারুন ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে কাজ করেন, এবং পুরো দেশজুড়ে উকুন ছড়িয়ে পড়ে। এই পতঙ্গগুলো শুধু অস্বস্তিকরই ছিল না, বরং দৈনন্দিন জীবনকেও ব্যাহত করেছিল।
১৮ কিন্তু মিশরের জাদুকররা তাদের গোপন বিদ্যা ব্যবহার করে উকুন সৃষ্টি করার চেষ্টা করলো, কিন্তু তারা পারল না। আর উকুন মানব ও পশুর গায়েই রয়ে গেল।
আগের দুটি মহামারীর ( রক্তের ও ব্যাঙের প্লেগ) মতো এবারও মিশরের জাদুকররা ঈশ্বরের শক্তিকে নকল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এইবার তারা ব্যর্থ হয়। এটি দেখায় যে মানুষের জাদুবিদ্যা ঈশ্বরের শক্তির তুলনায় কিছুই নয়।
১৯ তখন জাদুকররা ফারাও বা ফেরাউনের কাছে গিয়ে বলল, “এটি ঈশ্বরের হাতের কাজ।” কিন্তু ফারাও বা ফেরাউন তার হৃদয় কঠোর করে রাখলো এবং মোশির বা মূসার কথা শুনলো না, ঠিক যেমন ঈশ্বর বলেছিলেন।
যখন মিশরের জাদুকররা বুঝতে পারলো যে তারা এই দুর্যোগ সৃষ্টি করতে বা প্রতিহত করতে পারছে না, তখন তারা স্বীকার করলো যে এটি ঈশ্বরের কাজ। তবুও ফারাও বা ফেরাউন তার মন পরিবর্তন করলো না এবং ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দিতে অস্বীকার করলো।
২০-৩২: মাছি মহামারী
২০ এরপর ঈশ্বর মোশিকে বা মূসাকে বললেন, “সকালে উঠে ফারাও বা ফেরাউনের সামনে দাঁড়িয়ে যাও যখন সে নদীতে যাবে, এবং তাকে বলো, ‘ঈশ্বর বলেছেন: আমার লোকদের যেতে দাও, যাতে তারা আমার উপাসনা করতে পারে।
ঈশ্বর ফারাও বা ফেরাউনের কাছে মোশিকে বা মূসাকে আবার পাঠান, তাকে সতর্ক করে দেন এবং ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দিতে বলেন। ফারাও বা ফেরাউন তখনও তার মন পরিবর্তন করেনি, তাই ঈশ্বর নতুন দুর্যোগ পাঠানোর ঘোষণা দেন।
২১ যদি তুমি আমার লোকদের যেতে না দাও, তাহলে আমি তোমার, তোমার আধিকারিদের ও তোমার লোকদের উপর মাছির মহামারী পাঠাবো। সমস্ত মিশরের ঘরবাড়ি মাছিতে ভরে যাবে, এমনকি মাটিও মাছিতে ঢেকে যাবে।”
মিশরের জন্য চতুর্থ দুর্যোগ ছিল মাছির আক্রমণ। এটি খুবই ভয়ংকর ছিল, কারণ মাছি শুধু বিরক্তিকর নয়, তারা খাবার নষ্ট করে এবং রোগ ছড়ায়।
২২ “কিন্তু আমি সেদিন গোশেন দেশে (যেখানে আমার লোকেরা বাস করে) আলাদা করে রাখবো, সেখানে কোনো মাছির মহামারী থাকবে না, যাতে তুমি জানতে পারো যে আমি, ঈশ্বর, এই দেশে আছি।
এই মহামারীতে ঈশ্বর ইসরায়েলীয়দের রক্ষা করবেন, যাতে ফারাও বা ফেরাউন বুঝতে পারে যে, এই দুর্যোগ কেবল মিশরীয়দের জন্য। এটি দেখায় যে ঈশ্বর তাঁর লোকদের বিশেষভাবে দেখাশোনা করেন।
২৩ আমি আমার লোকদের এবং তোমার লোকদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করবো। এই ঘটনা আগামীকাল ঘটবে।”
ঈশ্বর মিশরীয়দের এবং ইসরায়েলীয়দের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেখান যে, এই দুর্যোগ সরাসরি মিশরীয়দের জন্য একটি শাস্তি।
২৪এবং ঈশ্বর তা করলেন। বিশাল পরিমাণে মাছি ফারাও বা ফেরাউনের প্রাসাদ, তার আধিকারিদের বাড়ি এবং সমগ্র মিশরের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়লো। দেশ সম্পূর্ণভাবে মাছির কারণে নষ্ট হয়ে গেল।
মাছির মহামারী পুরো দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এটি খাদ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
২৫ তখন ফারাও বা ফেরাউন মোশি বা মূসা ও আরেন বা হারুনকে ডেকে বললেন, “তোমরা তোমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উপাসনা করো, কিন্তু এই দেশেই করো।”
ফারাও বা ফেরাউন এবার কিছুটা ছাড় দেন, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দিতে চান না।
২৬ কিন্তু মোশি বা মূসা বললেন, “এটা ঠিক হবে না। কারণ আমরা এমন উপাসনা করবো যা মিশরীয়দের জন্য অপবিত্র। যদি আমরা তাদের সামনে উপাসনা করি, তাহলে তারা আমাদের পাথর ছুঁড়ে মারবে।”
ইসরায়েলীয়দের উপাসনা প্রথা মিশরীয়দের কাছে অপবিত্র ছিল। যদি তারা মিশরে উপাসনা করত, তাহলে মিশরীয়রা তাদের হত্যা করতে পারতো।
২৭ আমরা তিন দিনের পথ পেরিয়ে মরুভূমিতে যাবো এবং আমাদের ঈশ্বরের জন্য উপাসনা করবো, যেমন তিনি আমাদের আদেশ দিয়েছেন।”
মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনকে বলেন যে, ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তাদের মরুভূমিতে যেতে হবে, কারণ এটি ঈশ্বরের আদেশ।
২৮ ফারাও বা ফেরাউন বললেন, “আমি তোমাদের যেতে দেবো, যাতে তোমরা মরুভূমিতে উপাসনা করতে পারো, কিন্তু বেশি দূরে যেতে পারবে না। আর আমার জন্য প্রার্থনা করো।”
ফারাও বা ফেরাউন আংশিকভাবে সম্মতি দেন, কিন্তু তিনি ইসরায়েলীয়দের সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে রাজি হননি।
২৯ মোশি বা মূসা বললেন, “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো, এবং আগামীকাল মাছি দূর হবে। কিন্তু ফারাও বা ফেরাউন যেন আবার প্রতারণা না করেন।”
মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনকে সতর্ক করেন, যেন তিনি আবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করেন।
৩০ তখন মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনকে ছেড়ে চলে গেলেন এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন।
ফারাও বা ফেরাউন যখন প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, তিনি ইসরায়েলীয়দের যেতে দেবেন, তখন মোশি বা মূসা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, যেন মাছির মহামারী মিশর থেকে দূর হয়। মোশি বা মূসা ফারাও বা ফেরাউনের প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস রেখে ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করেন।
৩১ আর ঈশ্বর মোশির বা মূসার কথা মেনে নিলেন এবং ফারাও বা ফেরাউন, তার আধিকারিদের ও তার লোকদের উপর থেকে সমস্ত মাছি সরিয়ে নিলেন; একটি মাছিও রইল না।
ঈশ্বর মোশির বা মূসার প্রার্থনার উত্তর দেন এবং সম্পূর্ণরূপে মাছির মহামারী মিশর থেকে দূর করেন। এটি ঈশ্বরের করুণা ও শক্তির প্রমাণ যে তিনি যখন চান, তখন দুর্যোগ আনেন, আবার যখন চান, তখন তা তুলে নেন।
৩২ কিন্তু এইবারও ফারাও বা ফেরাউন তার হৃদয় কঠোর করলো এবং লোকদের যেতে দিলো না।
যদিও ফারাও বা ফেরাউন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দেবেন, তবুও যখন তিনি দেখলেন যে বিপদ কেটে গেছে, তখন তিনি আবার নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। এটি ফারাও বা ফেরাউনের অবাধ্যতা ও অহংকারের আরেকটি উদাহরণ, যেখানে তিনি ঈশ্বরের ক্ষমতাকে স্বীকার করেও ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে অমান্য করেন।
ঈশ্বর মোশির বা মূসার প্রার্থনা শুনে মাছির মহামারী তুলে নেন, কিন্তু ফারাও বা ফেরাউন আবারও তার মন পরিবর্তন করেন এবং ইসরায়েলীয়দের মুক্তি দেন না।ফেরাউন একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন।এই অধ্যায় আমাদের শেখায় যে, ঈশ্বরের শক্তি অপরিসীম, এবং যারা তাঁর আদেশ অবহেলা করে, তারা শেষ পর্যন্ত পরিণতি ভোগ করে।